ক্রীড়াঙ্গনে বইছে পরিবর্তের হওয়া

ক্রীড়াঙ্গনে বইছে পরিবর্তের হওয়া

চ্যানেল নিউজ, ঢাকা : দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বইছে পরিবর্তের হওয়া। আর তাতেই বিপাকে পড়েছেন দেশের ফুটবলাররা। দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে স্পনসর প্রতিষ্ঠানগুলো পিছুটান দেওয়ায় শীর্ষ ফুটবল থেকে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র সরে যাওয়ার গুঞ্জন আছে। এদিকে দল গঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে চট্টগ্রাম আবাহনীরও। তাই ক্লাবের চেয়ে বেশি বিপদে তাদের সঙ্গে চুক্তি করা ফুটবলাররা।

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব থেকে এরই মধ্যে চুক্তির খেলোয়াড়দের জানিয়েছে, তারা এবার দল গঠন করবে না। তবে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র এখনও সিদ্ধান্ত না জানালেও, ক্লাবের কর্মকর্তা সালেহ জামাল সেলিম নিশ্চিত করেছেন তারা লিগে অংশ নিচ্ছেন না। তাই উপায় না পেয়ে শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে বাফুফে ভবনে গিয়ে সভাপতি বরাবর ৭ দফা দাবি পেশ করেছেন প্রায় ৫০ জন ফুটবলার।

সাত দফার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এ মৌসুমে বিদেশি না রাখা এবং দলবদলের সময় বৃদ্ধি। বাফুফে অবশ্য দলবদলের সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করেছিল ফিফার কাছে। ফিফা তিনদিন বাড়িয়ে ১৯ থেকে ২২ আগস্ট করেছে। তবে এই সময়ও যথেষ্ট নয় ক্ষতিগ্রস্ত ক্লাবগুলোর জন্য।

এদিন বাফুফে ভবনের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সামনে সাত দফা দাবি পড়ে শোনান রেজাউল করিম। দাবিগুলো হলো— ১. অবিলম্বে ফুটবলারদের দলবদল পেছানো নিশ্চিত করতে হবে। ২. প্রতিটি দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ৩. দায়সারা লিগ চালানো যাবে না। ৪. যে দলগুলো খেলবে না বলছে, সেই দলগুলোয় খেলা নিশ্চিত করা খেলোয়াড়ের দায়ভার কে দেবে? ৫. এ বছর বিদেশি ছাড়া লিগ চালাতে হবে। ৬. যেসব পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ইতিপূর্বে ক্লাবের স্পনসর ছিল, তাদের আবার ক্লাবের স্পনসর করার ব্যবস্থা করতে হবে। ৭. যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সঙ্গে সব খেলোয়াড়ের একটি সভা আগামীকাল (রোববার) মধ্যে ব্যবস্থা করতে হবে।

ক্লাবগুলো পিছটান দেওয়ায় অভিজ্ঞ গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম হতাশ। বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা চাই সব ক্লাব খেলুক। ফুটবলই আমাদের পেশা। দেশের পরিবর্তিত অবস্থায় পারিশ্রমিক কম নিয়ে হলেও খেলতে রাজি আমরা। স্পনসর যারা ছিল, তারা ফিরে আসুক, নতুন স্পনসরদেরও ফুটবলারদের পাশে থাকার অনুরোধ করব।

ডিফেন্ডার রায়হান হাসানের প্রশ্ন, ৩-৪টি ক্লাব টিম করতে চাইছে না। শেখ রাসেল, শেখ জামাল তাদের খেলোয়াড়দের “না” বলে দিয়েছে। শেষ সময় এভাবে বললে খেলোয়াড়রা কোথায় যাবে? এই ১০০-১২০ জন খেলোয়াড়ের কী হবে? কে দায় নেবে?

এ বিষয়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেছেন, আমরা একাধিক চিঠি দিয়ে ফিফার কাছে দলবদলের সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছিলাম। ফিফা আমাদের জানিয়ে দিয়েছিল বৃদ্ধি সম্ভব না। পরের আরেকটি চিঠি দিয়ে আমরা বলেছিলাম, প্রথম উইন্ডোর ১২ সপ্তাহের মধ্যে আরও ৫ দিন আমাদের হাতে ছিল, সে সময়টুকুও দেওয়া যায় কিনা।

‘ফিফা ৫ দিন বাড়ায়নি, বাড়িয়েছে ৩ দিন। এখন দলবদলের প্রথম উইন্ডো শেষ হবে ২২ আগস্ট। আমরা সেটা ক্লাবগুলোকে অবহিত করেছি। আর আগামীকালের মধ্যে খেলোয়াড়দের প্রতিনিধিসহ ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য আমরা যোগাযোগ শুরু করেছি।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে ক্লিক করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

themesbazartvsite-01713478536